বাউফলে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত: পৃথক দুই মামলায় আসামি ৪৮
পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজবোঝাই ট্রলারে ডাকাতি এবং গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহতের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে।দুই মামলায় মোট ৪৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে বাউফল থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম ডাকাত নিহতের ঘটনায় বাদি হয়ে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় ৩০-৪০জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে তরমুজের ট্রলারে ডাকাতদের হামলা ও কুপিয়ে-পিটিয়ে জখমের ঘটনায় মো. শহিদুল মাতুব্বর বাদি হয়ে ৭-৮ জন অজ্ঞাত ডাকাতকে আসামি করে ২২৫ ও ৩৯৮ ধারায় একই দিন বিকেলে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাদি এসআই মো. সাইফুল ইসলাম মামলার এজাহার অনুযায়ী, শনিবার (১৫ মার্চ) ভোর রাত সোয়া ৪টার দিকে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে একটি তরমুজবোঝাই ট্রলারে ডাকাতি সংঘটিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণপিটুনিতে আহত এক ডাকাতসহ তিনজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক ডাকাত মারা যান। পরবর্তীতে সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে। তিনি হলেন কবির (৩৫), পিতা মফিজল বেপারী, ঠিকানা ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড।
অপর মামলার এজাহারে বাদী শহিদুল মাতুব্বর উল্লেখ করেন, তারা গলাচিপা উপজেলার চর কপালবেড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজল থেকে ১০ হাজার পিস তরমুজ কিনে চাঁদপুরে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। পথে বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ৭-৮ জনের একদল ডাকাত ট্রলারে হামলা চালিয়ে তরমুজ লুটের চেষ্টা করে।বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, নিহত ডাকাত কবিরের পরিচয় শনাক্তের পর তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কবিরের স্ত্রী তার লাশ গ্রহণের সম্মতি জানিয়েছেন, এবং লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It
Leave a Reply